Previous
Next

সর্বশেষ

নাসিরনগরে বিস্ফোরক মামলায় আ.লীগের নেতা গ্রেপ্তার

নাসিরনগরে বিস্ফোরক মামলায় আ.লীগের নেতা গ্রেপ্তার

প্রথম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডেস্ক-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় ধরমন্ডল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাসিরনগর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২.৩০ মিনিটে উপজেলার ধরমন্ডল বাজার থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।আটক রুমান মিয়া ধরমন্ডল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে নাসিরনগরে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগে থানায় গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার ৬৬ নম্বর আসামি ছিলেন রুমান। দীর্ঘদিন ধরে সে আত্মগোপনে থাকলেও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, রুমান ধরমন্ডল ইউনিয়ন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রুমানকে গ্রেপ্তার করায় ধরমন্ডল ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে এবং বাজারে সকাল বেলায় মানুষ মিষ্টি মুখ করেছে।
গ্রামীণ ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় অবদান রাখায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সম্মাননা

গ্রামীণ ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় অবদান রাখায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সম্মাননা

 প্রথম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডেস্ক-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালতের বার্ষিক কার্যক্রমের অগ্রগতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ইউএনডিপি।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম। সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শংকর কুমার বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ইউএনডিপি'র প্রজেক্ট অ্যানালিস্ট সিলভা দি।
সভায় বক্তব্য দেন ইউএনডিপি প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক মেরাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অংশগ্রহণ করেন জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
গ্রাম আদালতের প্রভাব তুলে ধরা হয়
আলোচনায় জানানো হয়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়ে জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে পরিচালিত হয়েছে। স্থানীয় জনগণের দোরগোড়ায় ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে গ্রাম আদালত কার্যকর ভূমিকা রাখছে। সভায় বিগত বছরের মামলার নিষ্পত্তির পরিসংখ্যান, চলমান কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।
বক্তারা বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে আইনি সহায়তা সহজলভ্য করতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জনসচেতনতা এবং সমন্বিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সম্মাননা পেলেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা
আলোচনা সভা শেষে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখায় কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা দেওয়া হয়। নাসিরনগর উপজেলার ৬ নম্বর বুড়িশ্বর ইউনিয়ন সেরা ইউনিয়ন হিসেবে নির্বাচিত হয়। ইউনিয়নের চারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. ইকবাল চৌধুরী সম্মাননা গ্রহণ করেন।
 নাসিরনগরের দুই শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচনে জয়ী

নাসিরনগরের দুই শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচনে জয়ী

প্রথম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডেক্স

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের দুই তরুণ শিক্ষার্থী। দুজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন।

হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের মেয়ে পপি রানী দাস (ক্লিওপেট্রা) কবি সুফিয়া কামাল হল সংসদের কার্যকরী সদস্য পদে ১,৫৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। শ্যামল দাসের কন্যা পপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে চাপরতলা ইউনিয়নের গাড়াউক গ্রামের ছেলে মো. আমীর হামজা বিল্লাহ স্যার এ এফ রহমান হল সংসদের সাহিত্য সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। মো. সাদেক বিল্লাহর ছেলে হামজা শিবির সমর্থিত প্রার্থীকে ১২৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে এ পদে জয়ী হন।

নিজ এলাকার সন্তানদের এমন অর্জনে নাসিরনগরে বইছে গর্ব আর আনন্দের জোয়ার। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ জয় শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং মফস্বলের তরুণদের স্বপ্নপূরণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
নাসিরনগরে হাওড়ে বিষ প্রয়োগে ৩ হাজার হাঁস নিধনের অভিযোগ

নাসিরনগরে হাওড়ে বিষ প্রয়োগে ৩ হাজার হাঁস নিধনের অভিযোগ

 প্রথম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হাওড়ের চরে বিষ প্রয়োগে তিন হাজার হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।  শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেকানগর গ্রামসংলগ্ন হাওড়ের পতিত চরে এ ঘটনা ঘটে। হাঁসগুলো ছিল খামারি শামসু মিয়ার। ওই খামারের ছিল ডিমওয়ালা ও বাচ্চাসহ প্রায় পাঁচ হাজার হাঁস।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, টেকানগর গ্রামের শামসু মিয়া পাঁচটি খামারে প্রায় পাঁচ হাজার হাঁস লালন পালন করতেন। খাঁমারটি টেকানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে লঙ্গন নদীর তীরে। প্রায় ২৫ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করেন। পুঁজির সব টাকাই এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া।  

স্থানীয়রা বলছেন, এটি যে নাশকতা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারা এই অমানবিক কাজ করেছে, তা খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি শামসু মিয়া জানান, প্রায় এক দশক ধরে তিনি হাঁসের খামার চালাচ্ছেন। এনজিও আশা, ব্র্যাক ও কৃষি ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে খামার করেন। বিষ প্রয়োগের ফলে রাত থেকে হাঁস মরতে শুরু করছে, এখনও মরতেছে। আমি এখন কী করব? ঋণের টাকা শোধ করব কীভাবে?’ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
খামারের কর্মী আব্দুর রহমান জানান, প্রতিদিনের মতো হাঁসগুলোকে খাবার দিয়ে তিনি বাড়ি গিয়েছিলেন। পরে খামারে ফিরে এসে দেখেন বেড়া দেওয়া জাল উল্টানো, চারদিকে বিষের গন্ধ। সে সময় তিনি একজনকে দৌড়ে পালাতে দেখেছেন বলেও জানান।
নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুতুল রানী বলেন, বিষয়টি খুবই দুখজনক। আমরা খামারিকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সকল সহযোগতীতা করবো।
সাংস্কৃতিক ও পরিবেশ আন্দোলন কর্মী মো.আরিফুল ইসলাম বলেন, শামসু ছিলো নাসিরনগর উপজেলার একজন সফল খামারি। তার এমন পরিণতি নতুন উদ্যোক্তাদের নিরুৎসাহীত করবে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
নাসিরনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. শুভজিৎ পাল বলেন, ‘বিষ প্রয়োগে হাঁস মারা যাওয়ার বিষয়ে আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তাকে আইনগত সকল সহযোগীতা দিবো। 
খান্দুরা দরবার শরিফের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস পালিত

খান্দুরা দরবার শরিফের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস পালিত

 জুয়েল খাঁন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে খান্দুরা দরবার শরিফের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুস, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকালে দরবার শরিফের আয়োজনে সাতবর্গ মাধবপুর বাজার থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে নোয়াপাড়া-জগদীশপুর এলাকা প্রদক্ষিণ করে হালুয়াপাড়ায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে মিলাদ কিয়াম ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন আওলাদে রাসুল পীরজাদা সৈয়দ শরীফুর রহমান শরিফ সাহেব (খান্দুরা দরবার শরিফ)। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আওলাদে রাসুল পীরজাদা সৈয়দ ওমর ফারুক সাহেব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মো. জিতু মিয়া, মো. হাবিবুর রহমান, হালুয়াপাড়া ও গোপালপুর জামে মসজিদের ইমাম, সাংবাদিক মো. জুয়েল খাঁনসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি।
খান্দুরা দরবার শরিফের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জশনে জুলুস

খান্দুরা দরবার শরিফের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জশনে জুলুস

 মোঃ জুয়েল খাঁন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার খান্দুরা দরবার শরিফের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জশনে জুলুস, মিলাদ, কিয়াম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে মাধবপুর উপজেলার মনতলা কলেজ মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি মাধবপুর বাজারসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ১০ নম্বর ছাতিয়াইন ইউনিয়নের ছাতিয়াইন কলেজ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে মিলাদ, কিয়াম ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওলাদে রাসুল পীরজাদা সৈয়দ জিয়াউল কামাল জাকারিয়া সাহেব (খান্দুরা দরবার শরিফ)। আহ্বায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওলাদে রাসুল পীরজাদা সৈয়দ জুবায়ের কামাল সাহেব। এছাড়াও সাংবাদিক মো. জুয়েল খানসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন।